ভারতে বসে হাসিনা আঃলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে নাশকতা করার নির্দেশ দিচ্ছেন: মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের( বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা আগেও গুম খুন করেছেন রাতে ভোট করেছেন। শেখ হাসিনা এখনো শয়তানি ছাড়ে নাই। ভারতে বসে তিনি আঃলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে নাশকতা করার নির্দেশ দিচ্ছেন। ভারতে তিনি শয়তানির আস্তানা বানিয়ে বসে রয়েছেন। তার বাবা শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭২-৭৫ সাল পর্যন্ত হত্যা লুটপাট চালিয়েছেন। বাকশাল গঠন করে সব দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন।সকল পত্রপত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর শহীদ জিয়া দেশবাসীকে মুক্তি দিয়েছিলেন। বহু দল রাজনীতি করার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্ধৃত কৃষি পণ্য ১৯৭৬-৭৭ সালে চাল সহ অনেক আইটেম রফতানি করেছেন। কলকারখানা স্থাপন ও ব্ন্ধ কারখানা চালু করেছেন। খাল খনন করেছেন। শহীদ জিয়া যা করেছেন আমাদের তাহা করতে হবে। এদেশে গার্মেন্ট এনেছে জিয়াউর রহমান, শ্রমিকরা কাজ করলে ডলার আসে। রেমিটেন্স পাঠায় আর তাদের রেমিট্যান্সে আমরা ফুটানি করি। জিয়াউর রহমান ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় সমঝোতার দায়িত্ব পালন করেছেন। আঃলীগের মতন ডাকাত সরকার হলে হবে না। শেখ হাসিনা সরকার ২০ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছেন। ২৫০০ নেতাকর্মি গুম করেছন।
ভিপি নুরের উপর অতর্কিত তাদেরই কাজ। আপনাদের উপর আঘাত আসলে সেই হাত ভেঙে দিবেন। মনে রাখবেন ২ হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিবে এমনটা জনগন আশা করে। আগামীতে ২ টি সংসদ হবে। দেশের সিনিয়র বরেণ্য লোকজন দিয়ে উচ্চ কক্ষ সংসদ হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিবো।
আগে সাংবাদিকরা সত্য বলতে পারতো না, লিখতে পারতো না। এখন কিছুটা পারে। আমরা সরকার গঠন করলে সাংবাদিকেরা স্বাধীন ভাবে লিখতে পারবে। উত্তরার এই খাল সহ রাজধানীর সকল খাল আপনারা পরিস্কার করবেন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গ করে বলেন অনেকে স্যুট পরে আসছেন, স্যুট পরে খাল পরিস্কার হয় না, অনেক মহিলা নেতৃবৃন্দ আসছে পার্লার থেকে। তাহলে কিভাবে খালে নামবেন? কর্মসূচি দিয়ে নিজেরা কাজ করতে হবে। আগামী কয়েকদিন খাল পরিস্কারের কর্মসূচি চলবে। আপনাদের লোকজনের কাছে যেতে হবে। জনগনের কাছে যেতে হবে। আমাদের কাজ হলো মানুষের মন জয় করা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর ২ নম্বর ব্রীজ এলাকায় খাল ও লেক পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম.কফিল উদ্দিন, মোঃ আফাজ উদ্দিন, এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়, ছাত্রদল জাসাস মহিলা দলের মহানগর উত্তরের সভাপতি সাধারন সম্পাদক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, আওলাদ হোসেন, আলমগীর হোসেন শিশির, মোস্তফা সরকার, তুরাগ থানা বিএনপির আলমাছ আলী, চান মিয়া বেপারী সহ অংশ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হক বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে মহানগর উত্তরের২৬ থানা ৭১ ওয়ার্ডের সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আমরা উত্তরা বাড্ডা মিরপুরে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেছিলাম। নির্বাচন নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না।