ভারতের অবস্থা শ্রীলংকা,বাংলাদেশ,নেপালের, মত হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র

খলিলুর রহমান:শ্রীলংকা,বাংলাদেশ,নেপালের, পথে হাঁটছে ভারত, বর্তমানে মোদি বুঝেছেন একই অবস্থা তাদের হতে পারে। ভারতের প্রতিটি প্রদেশে যেভাবে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বেশিদিন মনে হয় না মোদির ক্ষমতা টিকবে। মোদীর স্বৈরাচারী মনোভাব ইসলামবিদ্বেষীসহ জনগণের উপরে অনাস্থা জনগণের উপর নির্যাতন নিপীড়ন মামলা হামলা একেবারে শেখ হাসিনার মতোই একই কান্ড করছেন মোদির বিজেপি সরকার। ভারতের প্রদেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে তারা স্বাধীন চায় কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আলাদা হতে চায়। তাদেরকে চাপ দিয়ে আটকে রাখা হয় কিন্তু সারা ভারতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লে বেশিরভাগ রাজ্য আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এ সময় তার দলীয় নেতাকর্মীদের ভিতরে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হয় আর এই স্বৈরাচারী মনোভাব থেকেই পতন হয়। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।চলেগেলেন দিল্লিতে, এই আন্দোলনে ১৬০০র বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বিকেল
প্রায় ২:২৫ মিনিটে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে সি-১৩০জে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি আগরতলা হয়ে দিল্লিতে পৌঁছান। পলায়নের আগে তিনি একটি বক্তৃতা রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তবে তিনি সেই সুযোগ পাননি।

২০২৫ নেপালের বিক্ষোভ
নেপালের আন্দোলনে সহিংসতার কারণে বহু ক্ষতি হয়েছে নেপালের রাষ্ট্রীয় সম্পদের প্রধানমন্ত্রী পালিয়েছে হেলিকপ্টারে করে এবং রশিতে ঝুলে ছিল চারজন তাও মন্ত্রী পদমর্যাদার। এই ধরনের শাসনামল কে সারা পৃথিবী থেকে উৎপাত করাই হোক আন্দোলনের মূল চাবিকাঠি।
ব্যাপক দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগ করার কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেলও পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জেন-জি প্রজন্ম নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা কারফিউ অমান্য করে দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় অবস্থান করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। কেপি শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটিতে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পর দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনে প্রাণ হারান ২২ জনেরও বেশি মানুষ।

২০২২ শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ
শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের যে ঘটনা ঘটেছিল অর্থনীতির অবস্থা এত বেশি খারাপ ছিল শ্রীলংকার তার মধ্যেই তাদের যেন দুর্নীতি থামছিল না। তখন থেকে যতগুলো দেশে এ ধরনের আন্দোলন হয়েছে সবগুলোতেই দেখা গেল জনগণের প্রতি সরকারি একটি বিদ্বেষ ছিল সেই বিদ্বেষের কারণেই সরকার গুলো হিংসুটে হয়ে উঠেছিল জনগণ আন্দোলন শুরু করেছিল এরপরই আন্দোলনের মুখে তাদের পতন।
শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, যা রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে-র পদত্যাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে র‍্যানিল বিক্রমাসিংহের নিয়োগ: গণবিক্ষোভের পর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেন এবং র‍্যানিল বিক্রমাসিংহে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

সমসাময়িক প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার ছিলেন এবং «র‍্যানিল বিক্রমাসিংহে»-এর মেয়াদ নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়।

আরো