চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা কার্যালয়ে বহিরাগতদের দখল ও শোডাউন, প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা

শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রতিষ্ঠান “চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা” বর্তমানে চরম সংকটে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি পরিকল্পিত চক্র আদালতের রায় অমান্য করে সমিতির কার্যালয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবস্থান করে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে।

জানা গেছে, দিনের বেলা কার্যালয় ভবনের নিচে বহিরাগতদের শোডাউন এবং রাতের বেলা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছে একদল অনুপ্রবেশকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে রাতযাপন করছে বলেও নিশ্চিত হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ওই চক্রটি সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি, সমিতির মানি রিসিপ্ট ব্যবহার করে ভবনের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়াও আদায় করছে।

এ ঘটনায় সমিতির বৈধ কমিটির সদস্য ও আজীবন সদস্যদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, এই চক্রান্তের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষী ঐতিহ্য ও সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে সমিতির পক্ষ থেকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার বর্তমান দুই বছর মেয়াদি কার্যকরী কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, ষড়যন্ত্রকারীদের বাধার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন।

সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে ভয়াবহ সংকটে ফেলতে পারে। এ অবস্থায় জীবন সদস্যদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে এবং তাঁরা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রম দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে আইনগত পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

আরো