আবূ হুরাইরা (রদ্বিয়াল্ল-হু আনহু) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেছেনঃ

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

“মানুষের নিকট এমন একটি সময় আসবে, যখন মানুষ কোন উৎস থেকে সম্পদ আহরণ করছে—তা হালাল নাকি হারাম, সে বিষয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ করবে না।”
(বুখারী, হাদীস ২০৫৯)

কাব ইবনে উজরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন-
‘যে দেহ হারাম মাল দ্বারা লালিত-পালিত, তা কখনো জান্নাতে যাবে না;
এবং জাহান্নামই এর জন্য উপযুক্ত ঠিকানা’।
(আহমাদ, দারিমী, বাইহাকি)

✅ শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ
====================
✅ কিয়ামতের নিকট সময়ে মানুষ হালাল-হারামের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়বে।
✅ অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের ফারাক করা ঈমানের শর্ত।
✅ দুনিয়াবী লোভ মানুষকে নাজাত থেকে বঞ্চিত করতে পারে।
✅ আল্লাহর কাছে সফল হতে চাইলে উপার্জনে অবশ্যই হালালকে গুরুত্ব দিতে হবে।
✅ হালাল-হারামের পার্থক্য ভুলে গেলে ঈমান ও আখিরাত ধ্বংস হয়ে যাবে।

✅ হারাম উপার্জন দ্বারা জীবনযাপন করলে জান্নাত হারাম হয়ে যাবে।
✅ দেহ ও আত্মাকে হারাম খাদ্য দিয়ে গড়ে তুললে আখিরাত ধ্বংস হবে।
✅ হারাম সম্পদ শুধু দুনিয়াতে নয়, আখিরাতেও ধ্বংস ডেকে আনে।
✅ হালাল উপার্জনই জান্নাতের পথে সফলতার মূল ভিত্তি।
✅ মানুষকে অবশ্যই আত্ম-পর্যালোচনা করতে হবে—তার ভরণপোষণ হালাল না হারাম।،

১৯ রবিউল সানি ১৪৪৭

আরো