আদর্শহীন ক্ষমতা লিপসু রাজনীতির কথা

যুগে যুগে দেখা যায়,সমাজ ও রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ সব সময় ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার হিসাব,গোষ্টীগত ও শ্রেণীগত ক্ষুদ্র স্বার্থের জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন;শেষ পর্যন্ত হয়তো সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়,ততদিনে সত্যের জন্য অনেক খেসারত দিতে হয়।
এযুগের দলগত কোন্দল/দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতার দুর্বলতার সুযোগ প্রতিবেশি/বাইরের শক্তি নিলে তার পরিণতি যে কত ভয়াবহ হয়,তা বর্তমান বিশ্বে বহু নজির দেখতে পাওয়া যায়।
আসলে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থাকে সব মানুষের কল্যাণে গড়ে তোলার কাজটি বড়ই জটিল ও কঠিন।সর্বক্ষেত্রে জ্ঞান বিজ্ঞান ও মানবতার চর্চা ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব নয়।
“কলুষ পুরাতন সমাজ”-একটি ঝাকুনি খেলে সমাজ বদলায় না বরঞ্চ ওই ঝাকুনির মধ্য দিয়ে কিছু লোক সুযোগ পেলে ধনী হওয়ার এবং সেই সুবাদে শাসক শ্রেণীর অংশ হয়ে যাওয়া;আর তারা সকলে মিলে বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থার সুযোগে আবর্জনা কলুষ/জঞ্জাল ও সভ্যতার সর্বনাশ করে নিজের আখের গোছানোর কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে।
“বাংলাদেশে আজকের আদর্শহীন ক্ষমতা লিপ্সার রাজনীতি হয়তো আরও কয়েক বছর টিকে থাকতে পারে;কালের প্রবাহে নীতিগতভাবেই প্রতিস্থাপিত হবে আদর্শের রাজনীতি।”মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া,খাগড়াছড়ি।