আমাদের যোগ্যতম ও শ্রেষ্ঠদের রাজনীতিতে আনতে হবে

মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, খাগড়াছড়ি।

গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন,”জ্ঞানীরা শাসন করতে রাজি না হলে মূর্খের শাসনের দুর্ভোগ পোহাতেই হবে।
সিঙ্গাপুরের প্রাণপুরুষ লি কুইন ইউ যথার্থই- বলেছিলেন ,”আমাদের যোগ্যতম ও শ্রেষ্ঠদের রাজনীতিতে আনতে হবেই”।(Get our ablest and best into politics.) হযরত আলী বলেছিলেন,”কখন ও কিভাবে বুঝবেন,আপনার দেশ ও জাতি নষ্ট হয়ে গেছে।যখন দেখবেন-
মূর্খরা মঞ্চে বসে আছে,
জ্ঞানীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, শাসকেরা মিথ্যা কথা বলছে,
ধনীরা ধনী হচ্ছে আর গরিবের আরো গরীব হচ্ছে।”
আসলে আমাদের স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য কি ছিল? যে আইন ও বিধি দ্বারা বিদেশীরা আমাদের শাসন করেছিলেন,সেই আইন ও বিধিকে আমরা পরিবর্তন করে, নিজেদের উপযোগী শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ছিল স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য।
আমরা এখনো পরাধীনতার বেড়াজালে বন্দি।
আমরা বিদেশি শাসক বদলিয়ে দেশীয় শাসকদের ক্ষমতায় বসিয়ে উপনিবেশিক আমলের শাসন কাঠামো দিয়ে দেশ পরিচালনা করা জনগণের জন্য এক ধরনের পরাধীনতা।রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে “অভ্যন্তরী উপনিবেশবাদ”।এ ব্যবস্থা সমাজের নিকৃষ্টরা উৎকৃষ্ট হয়ে সমাজপতি হয়ে পড়ে।
বলুনতো শষ্যের চেয়ে আগাছা বেশি হলে সে খেতে কি শষ্য হয়?জ্ঞানীরা যদি বিমুখ হয়,
মূর্খেরা করে শাসন-
কে আটকাবে এ সমাজ-
অনিবার্য পতন।
আসলে গণতন্ত্র জিনিসটা কি?
এটি হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ সংস্কৃতি।কয়েকটি উপাদান দিয়েই গণতন্ত্রকে চিনতে হয়।প্রথমে যেটি হল,”অধিকার ও সুযোগের সাম্যতা”।তারপরে আসে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং সর্বস্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসন।
গণতন্ত্রের আসল রূপ হচ্ছে, “ব্যক্তির স্বাধীনতা,নিরাপত্তা ও বিকাশেকে নিশ্চিত করা”।
আজকে আমাদের দেশে গণতন্ত্রের এ শোচনীয় পরাজয়ের একমাত্র কারণ সমাজে শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি হওয়া।
যার ফলশ্রুতিতে-
নৌকা খাচ্ছে হাবুডুবু,লাঙ্গলের নাই চাষ-
বন্যায় নষ্ট ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লার পাশ।
দেখুন প্রতিশোধ সরাসরি নিতে হয় না।কেননা পচা ফল গুলু সময় মত এমনিতেই ঝরে পড়ে।
চক্রান্ত শেষ পর্যন্ত- চক্রান্তকারীকেই ঘিরে ফেলে।
ষড়যন্ত্রকারী শেষ পর্যন্ত- ষড়যন্ত্রের শিকারেই পরিণত হয়।এটা সুস্পষ্ট কোরআনের বাণী।সূরা ফাতির আয়াত- ৪৩.
আমরা যদি না জাগি মা-
কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।
আজ আমাদেরকে ধ্বংস করছে-
পরিশ্রমবিহীন-সম্পদ।
বিবেকবিহীন-বিনোদন।
চরিত্রবিহীন-জ্ঞান
ত্যাগ বিহীন-ধর্ম।
নীতিহীন-রাজনীতি।
মানবতা বিহীন-বিজ্ঞান। নৈতিকতা বিহীন-ব্যবসা।

আরো